Subscribe Our Channel

Exam Strategy | সাধারণ নিয়মাবলী যা সবসময় পালনীয়


# Read one, write twice and think thrice.

#না বুঝে মুখস্ত করলে মস্তিষ্কে তা স্থায়ীভাবে ধারন করা যায় না।

#হাতের লেখা খুব সুন্দর না হলেও যেন পরিছন্ন থাকে।

#রাত জেগে পড়লে স্নায়ুর উপর চাপ বাড়া ছাড়া আর কিছুই হয় না।

#নিয়মিত খাওয়া, গোসল, ঘুম ব্রেইনকে সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখে। তাই খাবারের সঙ্গে সঙ্গে ভালো ঘুম অনেক বেশি দরকার। ঘুমাতে যাবার পূর্বে সারাদিনের পড়া শুয়ে শুয়ে রিভিশন দাও।

#প্রেশার বেশি না নিয়ে ফুরফুরে মেজাজে কম পড়াও ভালো।

#শেখার জন্য পড়িও, চাকুরী পাবার জন্য পড়িও না শুধুমাত্র।  পুরো বিষয়টি শিখে আয়ত্ব করলে জীবনে চাকুরীর অনেক সুযোগ পাবে কিন্তু চাকুরীর জন্য বেছে বেছে পড়লে তুমি চাকুরী নাও পেতে পার।

#প্রতিটি বিষয়ের শীট বা নোটগুলো গুছিয়ে রাখতে হবে যা পরীক্ষা আসলে খুব সহজেই হাতের নাগালেই পাওয়া যায়।

#আত্মবিশ্বাসকে আরো সুদৃর করো। পড়তে বসে সবসময় মনোযোগ ধরে রাখতে অসুবিধা হতেই পারে। এজন্য নিজেকে দোষরূপ না করে বা নিজের চিন্তার উপর বিরক্ত না হয়ে বুঝতে চেষ্টা করো তোমার মনে কোন চিন্তাগুলো ঘুরপাক খচ্ছে যেগুলো তোমার মন সংযোগ ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। যদি সেগুলো চিহ্নিত করতে পারো তাহলে নিজেকে বলো 'আপাতত সেগুলো সরিয়ে রাখবে কারন এখনকার বাস্তবতা হলো পড়াটাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া।' যদি সেটি করলে কিছুটা সাফল্য আসে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে নিজের প্রশংসা করো সেই সঙ্গে উৎসাহ দিয়ে আবার পড়তে মনোযোগ দাও।

#প্রতিদিন কোন এক সময় আয়নাতে তাকিয়ে চোখে চোখ রেখে নিজেকে বলো- " আমি অবশ্যই পারব" এতে আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে যাবে।

# "তোমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না" "তোমার মাথায় কিচ্ছু নেই" "লেখাপড়া তোমার জন্য নয়" "অন্যদের তুলনায় তুমি কিছুই না" -এ ধরনের সমালোচনা যদি অতিতে কারো কাছ থেকে শুনে থাক তাহলে যথেষ্ট মনের শক্তি নিয়ে নিজেকে বলো বর্তমানে এই কথা গুলো আর তোমার ক্ষেত্রে সত্য না। তুমি এখন যথেষ্ট দায়িত্বশীল হয়েছ এবং নিজের উপর প্রচুর আস্থা রাখ।

#সুস্থ দেহ ও সুন্দর মন থাকা চাই। মানসিক চাপ সৃষ্টি হয় এমন কিছু না করাই ভালো, এতে করে সারা পড়া বিষয়ের উপর পরীক্ষার সময় অতিরিক্ত চাপ পড়ে। খাবে প্রচুর পানি ও দেশি ফল।

#বেশি রাত জেগে পড়া উচিৎ না বরং কাকডাকা ভোড়ে উঠে পড়াললেখা করলে বেশি কার্যকরী হয়।

#কোন পড়া পরীক্ষার আগের রাতের জন্য কখন-ই জমিয়ে রেখো না।

#প্রবাদ আছে যে "ভাত ছিটালে কাকের অভাব হয় না" -এ কথাটি লেখাপড়া কিংবা পরীক্ষার ক্ষেত্রে শতভাগ সত্য। তাই কোন রকম ব্যক্তিগত ও মানসিক সমস্যায় নিজেকে জড়াবে না। পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করো, দেখবে সব কিছুই তোমার নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই আছে। শুধুমাত্র সময়ের ব্যাপার। ভুলে যেও না সময়ের এক ফুড় আর অসময়ের দশ ফুড়।


অভিভাবকদের প্রতিঃ

অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ- আপনার সন্তানকে কখনোই পড়ালেখার অতিরিক্ত বোঝা চাপিয়ে দিবেন না। "তোমাকে এই করতে হবে, এই বিষয়ে বেশি নাম্বার পেতে হবে" -এই রকম কোন শর্ত দিবেন না। বেশি চাপ দিলে আপনার  সন্তান মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়তে পারে, পরীক্ষা নিয়ে হতাশ হতে পারে। তাই অতিরিক্ত চাপ না দিয়ে আপনার উচিৎ তাকে বেশি বেশি সময় দেওয়া। সম্ভব হলে পড়ার টেবিলের পাশে বসে থাকুন। যদি মনে হয় আপনার সন্তানের পরীক্ষা ভীতি আছে তবে উৎসাহমূলক কথা বলে তা কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করুন।

পরীক্ষার আগে পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে অভিভাবকদের হওয়া উচিৎ সহানুভূতিশীল, সহযোগীতামূলক ও উৎসাহব্যাঞ্জক। ফুড পয়জন হতে পারে এমন খাবার পরিবেশন করবেন না।

অভিভাবকদের বলছি- পরীক্ষার আগে ও পরীক্ষা চলাকালীন আপনাদের সহযোগীতা খুবই দরকার। মনে রাখবেন-  আপনার সন্তান যতটুকু প্রস্তুতি নিয়েছে তাতেই সে ভাল ফল করবে যদি তাকে উৎসাহ প্রদান ও তার মধ্যে পর্যাপ্ত সাহস সঞ্চার করা যায়।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url