Subscribe Our Channel

বাংলা ব্যাকরণ | উপসর্গ

অব্যয়ের একটি প্রকরণ। মূলত উপসর্গ এক প্রকার ধ্বনি কণিকা। যা সাধারণত তেমন কোনো স্বতন্ত্র অর্থ বহন করে না, কিন্তু অন্য শব্দের পূর্বে বসে, ভিন্ন ভিন্ন অর্থ-বোধক নূতন শব্দের সৃষ্টি করে। এই জাতীয় ধ্বনি কণিকা উপসর্গ বলে। ইংরেজিতে উপসর্গকে (suffix) বলে। উপসর্গ বদ্ধ রূপমূল (bound morpheme)

উপসর্গ সংস্কৃত ব্যাকরণ থেকে বাংলা ব্যাকরণে প্রবেশ করেছে। তাই সংস্কৃত ব্যাকরণের আদলে যখন বাংলা ব্যাকরণ তৈরির কাজ হাতে হাতে এগিয়ে চলছিল, সেই সময় আমরা উপসর্গ বলতে সংস্কৃত উপসর্গেরই উল্লেখ পাই। যেমন- বিদ্যাসাগরের ব্যাকরণ কৌমুদীতে দেশী বা বিদেশী উপসর্গের কোনো উল্লেখ পাই না। পরবর্তীকালের বাঙলা ব্যাকরণে, দেশী তথা বাংলা উপসর্গ এবং বিদেশী উপসর্গের অন্তর্ভুক্তি লক্ষ্য করি।

অর্থহীন অথচ অর্থ-দ্যোতক (দ্যোতক =সূচক, প্রকাশক) যে সকল অব্যয় শব্দ কৃদন্ত বা নাম শব্দের আগে বসে শব্দগলোর অর্থের সঙ্কোচন, প্রসারণ কিংবা অন্য কোন পরিবর্তন সাধন করে, তাদেরকে উপসর্গ বলে। যেমন- আগমন, পরিদর্শন, নিষ্ফল ইত্যাদি।

বাংলা ভাষায় কিছু কিছু অব্যয়সূচক শব্দাংশ বাক্যে পৃথকভাবে স্বাধীন কোনো পদ হিসেবে ব্যবহৃত না হয়ে বিভিন্ন শব্দের শুরুতে আশ্রিত হয়ে ব্যবহৃত হয়। এগুলোকে বলা হয় উপসর্গ। এগুলোর নিজস্ব কোন অর্থ নেই, তবে এগুলো শব্দের পূর্বে ব্যবহৃত হয়ে শব্দের অর্থের পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংকোচন সাধন করে।

উপসর্গ কোন শব্দ নয়, শব্দাংশ। এটি শুধুমাত্র শব্দের শুরুতে যোগ হয়। খেয়াল রাখতে হবে, উপসর্গ শুধুমাত্র শব্দেরই আগে বসে, কোন শব্দাংশের আগে বসে না। সুতরাং যে শব্দকে ভাঙলে বা সন্ধিবিচ্ছেদ করলে কোন মৌলিক শব্দ পাওয়া যায় না, তার শুরুতে কোন উপসর্গের মতো শব্দাংশ থাকলেও সেটা উপসর্গ নয়। এক্ষেত্রে নতুন শব্দের সঙ্গে মৌলিক শব্দটির কোন অর্থগত সম্পর্ক নাও থাকতে পারে।

শব্দের শুরুতে যোগ হয়ে এটি- নতুন শব্দ তৈরি করতে পারে, অর্থের সম্প্রসারণ করতে পারে, অর্থের সংকোচন করতে পারে এবং অর্থের পরিবর্তন করতে পারে।

উপসর্গের নিজস্ব অর্থবাচকতা বা অর্থ নেই, কিন্তু অন্য কোন শব্দের আগে বসে নতুন শব্দ তৈরির ক্ষমতা বা অর্থদ্যোতকতা আছে। যেমন, ‘আড়’ একটি উপসর্গ, যার নিজস্ব কোন অর্থ নেই। কিন্তু এটি যখন ‘চোখে’র আগে বসবে তখন একটি নতুন শব্দ ‘আড়চোখে’ তৈরি করে, যার অর্থ বাঁকা চোখে। অর্থাৎ, এখানে আড় উপসর্গটি চোখে শব্দের অর্থের পরিবর্তন করেছে। আবার এটিই ‘পাগলা’র আগে বসে তৈরি করে ‘আড়পাগলা’, যার অর্থ পুরোপুরি নয়, বরং খানিকটা পাগলা। এখানে পাগলা শব্দের অর্থের সংকোচন ঘটেছে। আবার ‘গড়া’ শব্দের আগে বসে তৈরি করে ‘আড়গড়া’ শব্দটি, যার অর্থ আস্তাবল। এখানে আবার শব্দের অর্থ পুরোপুরিই পরিবর্তিত হয়ে গেছে। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে, উপসর্গের নিজস্ব অর্থবাচকতা না থাকলেও তার অর্থদ্যোতকতা আছে। উপসর্গ অন্য কোন শব্দের আগে বসে নতুন শব্দ তৈরি করতে পারে।

উপসর্গের প্রকারভেদ

বাংলা ব্যাকরণে সংস্কৃত, বাংলা ও বিদেশী উপসর্গের বিচারে, উপসর্গ ৩ প্রকার। এই উপসর্গগুলো হলো-

তৎসম বা সংস্কৃত উপসর্গ, বাংলা উপসর্গ, ও বিদেশি উপসর্গ।

১. তৎসম বা সংস্কৃত উপসর্গ

বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত সংস্কৃত উপসর্গ বিশটি; যথা- প্র, প্ররা, অপ, সম্‌, নি, অব, অনু, নির্‌, দুর্‌, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অভি, অতি, অপি, উপ, আ।

২. খাঁটি বাংলা উপসর্গ

বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত খাঁটি বাংলা উপসর্গ একুশটি; যথা- অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়্‌, আন্‌, আব্‌, ইতি, উন্‌ (উনু, উনা), কদ্‌, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা।

৩. বিদেশী উপসর্গ

বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত বিদেশী উপসর্গের মধ্যে ফারসি ও ইংরেজি উপসর্গই বেশি দেখ যায়। কিছু উদাহরণ-

ফারসি উপসর্গের উদাহরণ- আম্‌, কার, খাস, সে (তিন), গর্‌, দর্‌, না (লা), নিম্‌, ফি, বর, ব, বদ্‌, বে, বাজে, হর্‌।

ইংরেজি উপসর্গের উদাহরণ- ফুল, সাব, হাফ, হেড।

তৎসম বা সংস্কৃত উপসর্গ

সংস্কৃত ভাষার যে সব শব্দ তৎসম শব্দের মতো অবিকৃত অবস্থায় হুবুহু বাংলা ভাষায় গৃহীত হয়েছে, সেগুলোকে বলা হয় তৎসম বা সংস্কৃত উপসর্গ।

পাণিনী ব্যাকরণ মতে-উপসর্গ ক্রিয়াযোগে (১।৪।৫৯)।

কারিকা : প্রপরাপসমন্ববনির্দুরভিব্যধিসূদতিনিপ্রতিপর্যপয়ঃ।উপ আঙতি বিংশতিরেষ সখে উপসর্গবিধিঃ কথিতঃ কবিনা ॥

[প্র, পরা, অপ, সম, অনু, অব্, নির্ দুর্, অভি, বি, অধি, সু, উদ, অতি, নি, প্রতি, পরি, অপি, উপ, আঙ্- এই বিশ প্রকার উপসর্গবিধি]।

পাণিনী এবং পরবর্তী ভাষ্যকারদের মতানুসারে সংস্কৃত উপসর্গের সংখ্যা ২০টি। এগুলো হলো-প্র, পরা, অপ, সম, অনু, অব্, নির্ দুর্, অভি, বি, অধি, সু, উদ, অতি, নি, প্রতি, পরি, অপি, উপ, আঙ্। এর ভিতরে আঙ্ উপসর্গ, ব্যবহারিক ক্ষেত্রে আ হিসাবে উল্লেখ করা হয়। যেমন-

আ-√দিশ্ (নির্দেশ করা) +অ (ঘঞ্)=আদেশ।

দুস্ এবং নিস নামে কোন প্রত্যয় তালিকায় পাওয়া যায় না। ভাষ্যকরাদের মতে, এই দুটি উপসর্গ যথাক্রমে দুঃ ও নিঃ উপসর্গের ভাগ এবং এই ভাগ দুটির প্রতিনিধি হিসাবে দুর ও নির তালিকায় আনা হয়েছে। এই সূত্রে আমরা যে চারটি উপসর্গ পাই তা হলো-

দুঃ (দুর) দুস্-√বুধ্ (জানা) +অ=দুর্বোধ

দুঃ (দুস) দুস্-√খন্ (খনন করা) +অ (ড)=দুঃখ

নিঃ (নির্) নির্ -√জি (জয়লাভ করা) +ত (ক্ত)=নির্জিত

নিঃ (নিস্) নিস্-√কৃষ (আকর্ষণ করা) +অ (ঘঞ্)=নিষ্কর্শ

ধাতুপূর্ব উপসর্গ সংযোগ বিধি :

এক বা একাধিক উপসর্গ ধাতুর পূর্বে ব্যবহৃত হতে পারে। সে কারণে উপসর্গ ধাতুর সংলগ্ন হয়ে সব সময় বসে না। যেমন- দুর্-আ-√চর +অ=দুরাচার। এখানে আ-উপসর্গ √চর ধাতুর আগে বসেছে, কিন্তু দুর্-উপসর্গ বসেছে আ-উপসর্গের পূর্বে।

শব্দ গঠন ও বানানরীতিতে উপসর্গের প্রভাব:

শব্দগঠনে উপসর্গ ও প্রত্যয় যুগপদ কাজ করে। এর ভিতরে প্রত্যয়ের প্রভাব প্রধান। প্রত্যয় ছাড়া ধাতু থেকে শব্দ গঠিত হয় না, কিন্তু উপসর্গ ছাড়া শব্দ গঠিত হতে পারে। সেকারণে শুধু উপসর্গ-যুক্ত ধাতু শব্দ তালিকায় আসে না। দুস্-√বুধ্ (জানা) দিয়ে কিছুই বুঝা যা না। কিন্তু দুস্-√বুধ্ (জানা) +অ=দুর্বোধ হলে শব্দ হিসাবে বিবেচিত হবে।

গঠিত শব্দ প্রকাশিত হয়- বানানরীতির নিয়মে। উচ্চারণের পরিবর্তন ঘটে, ণত্ব-বিধান ও ষত্ব-বিধানের নিয়মে এক্ষেত্রে ব্যাখ্যা করাটা যুক্তযুক্ত নয়। কারণ, এই বিধান দুটি দ্বারা বাংলায় ব্যবহৃত তৎসম শব্দের বানান-প্রকৃতি বর্ণনা করা যায়, কিন্তু উচ্চারণের বিধি প্রতিষ্ঠিত করা যায় না। এই বিষয়ে ধ্বনিতত্ত্বে বাংলা বানানরীতি পাঠের ণত্ব-বিধান ও ষত্ব-বিধান আলোচনা করা হয়েছে।

অর্থগত মান নির্ধারণে উপসর্গের প্রভাব :

উপসর্গ ধাতুর অর্থকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে। এই বিষয়টি নির্ভর করে, উপসর্গ ও ধাতুর অর্থের বিচারে। ধাতুর যেমন একটি ভাবগত অর্থ আছে। এই অর্থকে যেমন প্রাধান্য দিতে হয়, তেমনি কোন উপসর্গ কোন অর্থে ব্যবহৃত হচ্ছে তাও বিবেচনায় আনতে হয়। এক্ষেত্রে উপসর্গ ও ধাতুর মানের পারস্পরিক ক্রিয়ায়, গঠিত শব্দের অর্থগত মান প্রকাশিত হয়। অর্থমান নির্ধারণে এই বিষয়টি দুটি ধারায় কাজ করে থাকে। যেমন–

১.১ সমর্থক : ধাতুর অর্থকে যথাযথ মানে প্রকাশ করে বা গভীরভাবে অর্থকে উদ্ভাসিত করে। যেমন- প্রমাণ। প্রকৃষ্ট অর্থে প্র উপসর্গ √মান ধাতুকে প্রকাশ করে। তাই প্রমাণের সমার্থ হয়ে দাঁড়ায়- প্রকৃষ্ট রূপে প্রকাশিত মান। এখানে উভয় মিলে যে অর্থ প্রকাশ করে তা উপসর্গের অর্থ ধাতুর অর্থকে বিকশিত করে বটে কিন্তু তা ঘটে ধাতুর মানকে সমর্থন করেই।

১.২ বিবর্তক : উপসর্গ তার প্রভাব দ্বারা ধাতুর নিজস্ব অর্থ থেকে দূরে সরিয়ে দেয়। ফলে ধাতুর অর্থগত বিবর্তন ঘটে। সংস্কৃত ব্যাকরণে উপসর্গের এই প্রভাবকে বলপূর্বক (উপসর্গেণ ধাত্বর্থো বলাদন্যত্র নীয়তে) বলা হয়েছে। এই সূত্রে উদাহরণ হিসাবে উল্লেখ আছে- প্রহার, আহার, সংহার, বিহার, পরিহার। লক্ষ্যণীয় বিষয় যে, √হৃ ধাতুর ভাবগত অর্থ হল- হরণ করা। কিন্তু উল্লেখিত শব্দে প্র, আ, সং, বি, পরি উপসর্গগুলো বলপূর্বক ধাতুর অর্থকে ভিন্নতর করে তুলেছে।

পাণিনীর সূত্রানুসারে উপসর্গগুলো -প্রপরাপসমন্ববনির্দুরভিব্যধিসূদতিনিপ্রতিপর্যপয়ঃ। উপ আঙতি। বাংলা বর্ণানুক্রমে এর ক্রমবিন্যাসে যে রূপটি পাওয়া যায়, তা হলো–অতি, অধি, অনু, অব্, অপ, অপি, অভি, আ (আঙ্), উত, উপ, দুঃ (দুর্, দুস্), নি, নিঃ ( নির্, নিস), পরা, পরি, প্র, প্রতি, বি, সম, সু

অতি

অভিধান মতে- Öঅৎ (নিয়ত গমন করা) + ই =অতি। এই উপসর্গ মূলত অতিরিক্ত, অধিক অর্থে ব্যবহৃত হয়। এই মূলভাবের কিছু বিশেষ অর্থে প্রধান, অতিক্রান্ত, অতিরঞ্জিত, বাহুল্য, আদ্যাবস্থা ইত্যাদি অনুসারে এর অর্থে বিভাজিত করা হয়। যেমন-

অতিশয়িত বা অধিক অর্থে :

অতিকর্কশ, অতিকঠোর, অতিকাতর, অতিকায়, অতিকৃচ্ছ্র, অতিকেশ, অতিক্রূর, অতিক্ষীণ, অতিখর, অতিগণ্ড, অতিগন্ধ, অতিগভীর, অতিগহীন, অতিগুণ, অতিগুরু, অতিডীন, অতিতার, অতিতৃপ্ত, অতিতৃষ্ণ, অতিদরিদ্র, অতিদর্প, অতিদূর, অতিদান, অতিদারুণ, অতিদাহ, অতিদীন, অতিদুর্গত, অতিদীর্ঘ,অতিদোহ, অতিনিদ্রা, অতিনীচ, অতিপরিচিত, অতিপানেচ্ছু, অতিপিপাসিত, অতিপৌঢ়, অতিবড়, অতিবল, অতিবষ, অতিবাড়, অতিবাত, অতিবিমোহন, অতিবৃদ্ধ, অতিবৃষ্টি, অতিভীষণ, অতিরূঢ়, অতিলম্বা, অতিশয়, অতিহীন, অত্যুৎকৃষ্ট।

প্রধান অর্থে : অতিদেব

অতিশায়নে : অতিতম, অতিতর,

বাহুল্য অর্থে : অতিরিক্ত, অতিকৃত, অতিবিধ,

অতিরঞ্জিত অর্থে : অতিকথা, অতিবিশদ, অতিপ্রকাশ, অতিপ্রণয়, অতিবিস্তর

অতিক্রান্ত অর্থে : আতিকশ, অতিক্রম, অতিক্রমণ, অতিক্রমণীয়, অতিক্রমী,অতিক্রান্ত, অতিগ, অতিচার, অতিজর, অতিজব, অতিজাত, অতিদেশ, অতিপত্তি, অতিপর, অতিপাত, অতিপাতক, অতিপাতিত, অতিপাতী, অতিপাত্য, অতিপ্রকৃতি, অতিপ্রাকৃত, অতিবষ, অতিবর্তন, অতিবাদ, অতবাহ, অতিবুদ্ধি,

আদ্যা-নির্দেশনায় : অতিকল্য, অতিসকাল

ব্যঞ্জনবর্ণের সাথে এই উপসর্গে কোন সন্ধি হয় না। কিন্তু স্বরসন্ধিতে এর বানান পরিবর্তন ঘটে। যেমন-

অতি +ই=অতী অতি +ই+ত=অতীত
অতি +অ=অত্য অতি +ই+অ=অত্যয়
অতি +উ =অত্যু অতি-উৎকৃষ্ট=অত্যুৎকৃষ্ট
এর পরে যুক্ত অপরাপর যে উপসর্গ যুক্ত হতে পারে-

আ : অতি-আ-Öচর +অ=অত্যাচার
উৎ (উদ) উপসর্গজাত শব্দ : অতি –উৎ-Öকৃষ +ত=অত্যুৎকৃষ্ট
অধি (সংস্কৃত ক্রমসংখ্যা ১১)

এই উপসর্গ অধিকারপ্রাপ্ত, অধিক, উপরস্থিত, অধিষ্ঠীত অর্থে ব্যবহৃত হয়।

অধিকারপ্রাপ্ত, অধীনস্থ অর্থে : অধিকৃত, অধিগত, অধিবাস, অধীত
অধিক অর্থে : অধিগুণ, অধিজিহ্বা, অধিমাস, অধিশ্রী
উপরস্থিত, আরূঢ় অর্থে : অধিত্যকা, অধিদন্ত, অধিনাথ, অধিপ, অধিরোহণ
অধিষ্ঠীত অর্থে : অধিদেব, অধিদেবতা, অধিভূত, অধিশ্রয়।
ব্যঞ্জনবর্ণের সাথে এই উপসর্গে কোন সন্ধি হয় না। কিন্তু স্বরসন্ধিতে এর বানান পরিবর্তন ঘটে। যেমন-

অধি+অ=অধ্য অধি +Öঅস্+অ=অধ্যাস
অধি +ই=অধী অধি +Öই+মান=অধীয়মান
অধি +ঈ=অধী অধি +Öঈশ+অ=অধীশ
এর পরে যুক্ত অপরাপর যে উপসর্গ যুক্ত হতে পারে-

অব অধি-অব-Öসো +অন=অধ্যাসান
আ অধি-আ-Öক্রম +ত=অধ্যাক্রম
অনু, অব্, অপ, অপি, অভি, আ (আঙ্), উদ, উপ, দুঃ (দুর্, দুস্), নি, নিঃ ( নির্, নিস্), পরা, পরি, প্র, প্রতি, বি, সম, সু,

তৎসম উপসর্গ শুধুমাত্র তৎসম শব্দের আগে বসে। তৎসম উপসর্গ মোট ২০টি-

প্র পরা অপ সম
নি অনু অব নির
দুর বি অধি সু
উৎ পরি প্রতি অতি
অপি অভি উপ আ

নিচে সংস্কৃত উপসর্গগুলোর প্রয়োগ দেখানো হলো-

উপগর্স অর্থ উদাহরণ/ প্রয়োগ
১ প্র প্রকৃষ্ট/ সম্যক প্রচলন (প্রকৃষ্ট রূপ চলন/ চলিত যা)প্রভাব, , প্রস্ফুটিত
খ্যাতি প্রসিদ্ধ, প্রতাপ
আধিক্য প্রবল (বলের আধিক্য), প্রগাঢ়, প্রচার, প্রসার
গতি প্রবেশ, প্রস্থান
ধারা-পরম্পরা প্রপৌত্র, প্রশাখা, প্রশিষ্য
২ পরা আতিশয্য পরাকাষ্ঠা, পরাক্রান্ত, পরায়ণ
বিপরীত পরাজয়, পরাভব
৩ অপ বিপরীত অপমান, অপকার, অপচয়, অপবাদ
নিকৃষ্ট অপসংস্কৃতি (নিকৃষ্ট সংস্কৃতি), অপকর্ম, অপসৃষ্টি, অপযশ
স্তানান্তর অপসারণ, অপহরণ, অপনোদন
বিকৃত অপমৃত্যু
সুন্দর অপরূপ
৪ সম সম্যক রূপে সম্পূর্ণ, সমৃদ্ধ, সমাদর
সম্মুখে সমাগত, সম্মুখ
৫ নি নিষেধ নিবৃত্তি, নিবারণ
নিশ্চয় নির্ণয়
আতিশয্য নিদাঘ, নিদারুণ
অভাব নিষ্কলুষ (কলুষতাহীন), নিষ্কাম
৬ অনু পশ্চাৎ অনুশোচনা (পূর্বের কৃতকর্মের জন্য অনুশোচনা), অনুগামী (পশ্চাদ্ধাবনকারী), অনুজ, অনুচর, অনুতাপ, অনুকরণ
সাদৃশ্য অনুবাদ, অনুরূপ, অনুকার
পৌনঃপুন্য অনুশীলন (বারবার করা) , অনুক্ষণ, অনুদিন
সঙ্গে অনুকূল, অনুকম্পা
৭ অব হীনতা অবজ্ঞা, অবমাননা
সম্যক ভাবে অবরোধ, অবগাহন, অবগত
নিমেণ/ অধোমুখিতা অবতরণ, অবরোহণ
অল্পতা অবশেষ, অবসান, অবেলা
৮ নির অভাব নিরক্ষর, নির্জীব, নিরহঙ্কার, নিরাশ্রয়, নির্ঘন
নিশ্চয় নির্ধারণ, নির্ণয়, নির্ভর
বাহির/ বহির্মুখিতা নির্গত,নিঃসরণ, নির্বাসন
৯ দুর মন্দ দুর্ভাগা, দর্দশা, দুর্নাম
কষ্টসাধ্য দুর্লভ, দুর্গম, দুরতিক্রম্য
১০ অধি আধিপত্য অধিকার, অধিপতি, অধিবাসী
উপরি অধিরোহণ, অধিষ্ঠান
ব্যাপ্তি অধিকার,অধিবাস, অধিগত
১১ বি বিশেষ রূপে বিধৃত, বিশুদ্ধ, বিজ্ঞান, বিবস্ত্র, বিশুষ্ক, বিনির্মাণ
অভাব বিনিদ্র, বিবর্ণ, বিশৃঙ্খল, বিফল
গতি বিচরণ, বিক্ষেপ
অপ্রকৃতিস্থ বিকার, বিপর্যয়
১২ সু উত্তম সুকণ্ঠ, সুকৃতি, সুচরিত্র, সুপ্রিয়, সুনীল
সহজ সুগম, সুসাধ্য, সুলভ
আতিশয্য সুচতুর, সকঠিন, সুধীর, সুনিপুণ, সুতীক্ষ্ণ
১৩ উৎ ঊর্ধ্বমুখিতা উদ্যম, উন্নতি, উৎক্ষিপ্ত, উদগ্রীব, উত্তোলন
আতিশয্য উচ্ছেদ, উত্তপ্ত, উৎফুলল, উৎসুক, উৎপীড়ন
প্রস্ত্ততি উৎপাদন, উচ্চারণ
অপকর্ষ উৎকোচ, উচ্ছৃঙ্খল, উৎকট
১৪ পরি বিশেষ রূপ পরিপক্ব, পরিপূর্ণ, পরিবর্তনশেষ পরিশেষ
সম্যক রূপে পরিশ্রান্ত, পরীক্ষা, পরিমাণ
চতুর্দিক পরিক্রমণ, পরিমন্ডল
১৫ প্রতি সদৃশ প্রতিমূর্তি, প্রতিধ্বনি
বিরোধ প্রতিবাদ, প্রতিদ্বন্দ্বী
পৌনঃপুন্য প্রতিদিন, প্রতি মাস
অনুরূপ কাজ প্রতিঘাত, প্রতিদান, প্রত্যুপকার
১৬ অতি আতিশয্য অতিকায়, অত্যাচার, অতিশয়
অতিক্রম অতিমানব, অতিপ্রাকৃত
১৭ অপি অপিচ
১৮ অভি সম্যক অভিব্যক্তি, অভিজ্ঞ, অভিভূত
গমন অভিযান, অভিসার
সম্মুখ বা দিক অভিমুখ, অভিবাদন
১৯ উপ সামীপ্য উপকূল, উপকণ্ঠ
সদৃশ উপদ্বীপ, উপবন
ক্ষুদ্র উপগ্রহ, উপসাগর, উপনেতা
বিশেষ উপনয়ন (পৈতা), উপভোগ
২০ আ পর্যন্ত আকণ্ঠ, আমরণ, আসমুদ্র
ঈষৎ আরক্ত, আভাস
বিপরীত আদান, আগমন
ধাতুর সাথে বিভিন্ন উপসর্গযোগে একই ধাতুর নানা প্রকার অর্থ প্রকাশ করে। কখনও কখনও অর্থেরও পরিবর্তন ঘটে, বার কখনও ধাতুর মূল অর্থই বিশেষভাবে প্রকাশ পায়। যেমন-

কৃ ধাতু : +কার=কার মূর্তি
প্র+কার=প্রকার রকম
অপ+কার=অপকার ক্ষতি
বি+কার=বিকার স্বাভাবিক অবস্থার বিপরীত
গম ধাতু :+গমন=গমন সা
নিঃ+গমন=নির্গমন বাহির হওয়া
বিহঃ+গমন=বহির্গমন বাহিরে যাওয়া
প্রতি+গমন=প্রত্যগমন ফিরিয়া সা
হৃ ধাতু :+হার=হার খাদ্য
বি +হার=বিহার নন্দে বিচরণ
প্র +হার=প্রহার মারপিট
অনা +হার=অনাহার উপবাস
উপ +হার=উপহার উপঢৌকন

বিশেষ দ্রষ্টব্য : আ, সু, বি, নি- এই চারটি উপসর্গ তৎসম ও বাংলা উভয় উপসর্গ হিসেবেই ব্যবহৃত হয়। রূপের বদল না হলেও এই চারটি উপসর্গকে বাংলা উপসর্গ বলার কারণ, তৎসম শব্দের সঙ্গে ব্যবহৃত হলে সেই উপসর্গকে তৎসম উপসর্গ আর তদ্ভব বা খাঁটি বাংলা শব্দের সঙ্গে ব্যবহৃত হলে সেই উপসর্গকে বাংলা উপসর্গ বলা হয়। তাই এই উপসর্গগুলো যখন তদ্ভব শব্দের সঙ্গে ব্যবহৃত হয়, তখন এগুলোকে বলা হয় বাংলা উপসর্গ। আর যখন তৎসম শব্দের সঙ্গে ব্যবহৃত হয়, তখন বলা হয় তৎসম বা সংস্কৃত উপসর্গ। যেমন, ‘আলুনি’তে আ বাংলা উপসর্গ, আর ‘আকণ্ঠ’তে আ সংষ্কৃত বা তৎসম উপসর্গ।বাংলা উপসর্গ

আর্য তথা সংস্কৃত ভাষাভাষীদের আগমনের পূর্বে, এদেশে যে সকল স্থানীয় ভাষা প্রচলিত ছিল, সে সকল ভাষাকে সাধারণভাবে অনার্য বা দেশী ভাষা বলা হয়। এই সকল ভাষায় ব্যবহৃত উপসর্গগুলি বাংলাতে পাওয়া যায়। সাধারণভাবে এই উপসর্গগুলিই দেশী উপসর্গ নামে পরিচিত। বাংলা ভাষায় এই জাতীয় উপসর্গের সংখ্যা ২১টি। বাংলা উপসর্গ সবসময় খাঁটি বাংলা শব্দ বা তদ্ভব শব্দের পূর্বে ব্যবহৃত হয়। নিচে এই উপসর্গ এবং এর উদাহরণগুলি বর্ণানুক্রমে তুলে ধরা হলো।

অ অঘা অজ অনা
আ আড় আন আব
ইতি ঊন (ঊনা) কদ কু
নি পাতি বি ভর রাম
স সা সু হা
নিচে বাংলা উপসর্গগুলোর প্রয়োগ দেখানো হলো-

উপসর্গ অর্থ উদাহরণ/ প্রয়োগ
১ অ নিন্দিত অকেজো (নিন্দিত কাজ করে যে), অচেনা, অপয়া
অভাব অচিন (চিন-পরিচয়ের অভাব), অজানা, অথৈ
ক্রমাগত অঝোর (ক্রমাগতভাবে ঝরতে থাকা), অঝোরে
২ অঘা বোকা অঘারাম, অঘাচন্ডী
৩ অজ নিতান্ত/ মন্দ অজপাড়াগাঁ (একেবারে নিতান্তই পাড়াগাঁ), অজমূর্খ, অজপুকুর
৪ অনা অভাব অনাবৃষ্টি (বৃষ্টির অভাব), অনাদর
ছাড়া অনাছিষ্টি (সৃষ্টিছাড়া), অনাচার
অশুভ অনামুখো (অশুভ, মুখ যার অশুভ)
৫ আ অভাব আলুনি (লবনের অভাব), আকাঁড়া, আধোয়া
বাজে, নিকৃষ্ট আকাঠা, আগাছা
৬ আড় বক্র/ বাঁকা আড়চোখে (বাঁকা চোখে), আড়নয়নে
আধা, প্রায় আড়পাগলা (আধা পাগলা), আড়ক্ষ্যাপা, আড়মোড়া
বিশিষ্ট আড়গড়া (আস্তাবল), আড়কোলা, আড়কাঠি
৭ আন না আনকোরা (যা এখনো কোরা হয়নি, একদম নতুন)
বিক্ষিপ্ত আনচান, আনমনা (মনের বিক্ষিপ্ত অবস্থা)
৮ আব অস্পষ্টতা আবছায়া (অস্পষ্ট ছায়া), আবডাল
৯ ইতি এ বা এর ইতিপূর্বে (পূর্বেই) , ইতিকর্তব্য
পুরনো ইতিকথা (বহু পুরনো কথা), ইতিহাস
১০ ঊন (ঊনা) কম ঊনিশ (বিশ হতে ১ ঊন) , ঊনপাঁজুরে
১১ কদ্ নিন্দিত কদাকার (নিন্দিত/ কুৎসিত আকার) , কদবেল, কদর্য
১২ কু কুৎসিত/ অপকর্ষ কুঅভ্যাস (কুৎসিত/ খারাপ অভ্যাস), কুকথা, কুনজর, কুসঙ্গ, কুজন
১৩ নি নাই/ নেতি নিখুঁত (খুঁত নেই যার), নিখোঁজ, নিলাজ, নিভাঁজ, নিরেট
১৪ পাতি ক্ষুদ্র পাতিহাঁস (ক্ষুদ্র প্রজাতির হাঁস), পাতিশিয়াল, পাতিলেবু, পাতকুয়ো
১৫ বি ভিন্নতা/ নাই বা নিন্দনীয় বিপথ (ভিন্ন পথ), বিভূঁই, বিফল
১৬ ভর পূর্ণতা ভরপেট (পেটের ভর্তি/ পূর্ণ অবস্থা), ভরসাঁঝ, ভরপুর, ভরদুপুর, ভরসন্ধ্যে
১৭ রাম বড়/ উৎকৃষ্ট রামছাগল (বড় বা উৎকৃষ্ট প্রজাতির ছাগল), রামদা, রামশিঙ্গা, রামবোকা
১৮ স সঙ্গে সলাজ (লাজের সঙ্গে), সরব, সঠিক, সজোর, সপাট
১৯ সা উৎকৃষ্ট সাজিরা (উৎকৃষ্ট মানের এক প্রকার জিরা), সাজোয়ান
২০ সু উত্তম সুদিন (উত্তম দিন), সুনজর, সুখবর, সুনাম, সুকাজ
২১ হা অভাব হাভাতে (ভাতের অভাব), হাপিত্যেশ, হাঘরে

বিদেশি উপসর্গ

বিভিন্ন বিদেশি ভাষার সঙ্গে সঙ্গে সে সব ভাষার কিছু কিছু উপসর্গও বাংলা ভাষায় গৃহীত হয়েছে। এই সব বিদেশি ভাষার উপসর্গগুলোই বিদেশি উপসর্গ। তবে এই উপসর্গগুলো বাংলা বা সংস্কৃত উপসর্গের মতো নিয়ম মানে না। এগুলো যে কোন শব্দের সঙ্গেই যুক্ত হতে পারে। বিদেশি উপসর্গের কোন নির্দিষ্ট সংখ্যা নেই। কারণ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিদেশি শব্দের মতোই নতুন নতুন বিদেশি উপসর্গও বাংলায় গৃহীত হচ্ছে। কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিদেশি উপসর্গ নিচে দেয়া হলো-

কার দর না নিম
ফি বদ বে বর
ব কম

ফারসি উপসর্গ-

ফারসি উপসর্গের প্রয়োগ-

উপসর্গ অর্থ উদাহরণ/ প্রয়োগ
১ কার কাজ কারখানা, কারসাজি, কারচুপি, কারবার, কারদানি
২ দর মধ্যস্থ, অধীন দরপত্তনী, দরপাট্টা, দরদালান
৩ না না নাচার, নারাজ, নামঞ্জুর, নাখোশ, নালায়েক
৪ নিম আধা নিমরাজি, নিমখুন
৫ ফি প্রতি ফি-রোজ, ফি-হপ্তা, ফি-বছর, ফি-সন, ফি-মাস
৬ বদ মন্দ বদমেজাজ, বদরাগী, বদমাশ, বদহজম, বদনাম
৭ বে না বেআদব, বেআক্কেল, বেকসুর, বেকায়দা, বেগতিক, বেতার, বেকার
৮ বর বাইরে, মধ্যে বরখাস্ত, বরদাস্ত, বরখেলাপ, বরবাদ
৯ ব সহিত বমাল, বনাম, বকলম
১০ কম স্বল্প কমজোর, কমবখত

আরবি উপসর্গ-

উপসর্গ অর্থ উদাহরণ/ প্রয়োগ
১ আম সাধারণ আমদরবার, আমমোক্তার
২ খাস বিশেষ খাসমহল, খাসখবর, খাসকামরা, খাসদরবার
৩ লা না লাজওয়াব, লাখেরাজ, লাওয়ারিশ, লাপাত্তা
৪ গর অভাব গরমিল, গরহাজির, গররাজি

ইংরেজি উপসর্গ-

উপসর্গ অর্থ উদাহরণ/ প্রয়োগ
১ ফুল পূর্ণ ফুলহাতা, ফুলশার্ট, ফুলবাবু, ফুলপ্যান্ট
২ হাফ আধা হাফহাতা, হাফটিকেট, হাফস্কুল, হাফপ্যান্ট
৩ হেড প্রধান হেডমাস্টার, হেডঅফিস, হেডপন্ডিত, হেডমৌলভী
৪ সাব অধীন সাব-অফিস, সাব-জজ, সাব-ইন্সপেক্টর
উর্দু- হিন্দি উপসর্গ-

উপসর্গ অর্থ উদাহরণ/ প্রয়োগ
হর প্রত্যেক হররোজ, হরমাহিনা, হরকিসিম, হরহামেশা, হরেক

উপর্গযোগে গঠিত শব্দ :

উপসর্গ শব্দ
অ অদ্বিতীয়, অনিমিষ
অতি অতিমাত্র, অতিশয়, অতীত (অতি+ইত), অতিমুক্তলতা
অনু অনুসন্ধান, অনুষ্ঠান
অব অবলোকন, অবকাশ, অবতীর্ণ
আ আদেশ, আকার
নিঃ নিরপরাধ (নিঃ+অপরাধ), নির্বিঘ্ন (নিঃ+বিঘ্ন), নিঃশঙ্ক
পরি পরিত্রাণ, পরিণয়, পরিধান, পরিচালিত, পরিহাস, পরিতাপ
প্র প্রবেশ, প্রবিষ্ট
সম সমভিব্যাহারে, সম্মুখ, সমাগত, সংযত (সম+যত), সম্বোধন, সন্নিহিত (সম+নিহিত)

একাধিক উপসর্গযোগে গঠিত শব্দ :

শব্দ গঠন শব্দ গঠন
অনতিবৃহৎ অন+অতি+বৃহৎ অনুসন্ধান অনু+সম+ধান
সমভিব্যাহার সম+অভি+বি+আ+হার নিরপাধ নি+অপ+রাধ
সাতিশয় স+অতি+শয় প্রতিসংহার প্রতি+সম+হার

অ, অন- উপসর্গ অন্য শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে শব্দটাকে না-বোধক অর্থ দেয়। যেমন :

উপসর্গ মূল শব্দ উপসর্গযোগে গঠিত শব্দ
অ বোধ অবোধ
অ নিদ্রা অনিদ্রা
অ বরেণ্য অবরেণ্য
অ জ্ঞান অজ্ঞান
অন আহার অনাহার
অন আগ্রহ অনাগ্রহ
অ- উপসর্গযোগে গঠিত শব্দ

মূল শব্দ অ-উপসর্গযোগে
তল অতল
শেষ অশেষ
ফুরন্ত অফুরন্ত
অলসতা

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url